বর্ষবরণ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করার নমুনা মাত্র, মনে রাখতে হবে কথা ও গান / নাচের মাঝে যেন কোনো গ্যাপ না থাকে।কথা শেষ হলেই কিংবা শেষ হওয়ার ১০ সেকেন্ড আগেই যেন গান বা নাচের আবহ শুরু হয়।মঞ্চে শিল্পীকে আগে থেকেই রেডি রাখতে হবে।

অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা

তুমি বলেছিলে ক্ষমা নেই,ক্ষমা নেই

অথচ ক্ষমাই আছে।

প্রসন্ন হাতে কে ঢালে জীবন শীতের শীর্ণ গাছে,

অন্তরে তার কোনো ক্ষোভ জমা নেই। 

তুমি বলেছিলে তমিস্রা জয়ী হবে,

তমিস্রা জয়ী হোলো না।

দিনের দেবতা ছিন্ন করেছে অমারাত্রির ছলনা;

ভরেছে হৃদয় শিশিরের সৌরভে।

তুমি বলেছিলে বিচ্ছেদই শেষ কথা ;

শেষ কথা কেউ জানে?

কথা যে ছড়িয়ে আছে হৃদয়ের সবগানে সবখানে

তারও পরে আছে বাঙ্ময় নীরবতা…

তুষারমৌলি পাহাড়ে কুয়াশা গিয়েছে টুটুে,

নীলাভ রৌদ্রকিরণে ঝরে প্রশান্ত ক্ষমা,

পৃথিবী রৌদ্রকে ধরে প্রসন্ন করপুটে

দ্যাখো কোনোখানে নেই কোনো বিচ্ছেদ

আছে অনন্ত মিলন,অমেয় আনন্দের রেশ।

নমস্কার, আমি দিবস।

নমস্কার, আমি পিয়াস।

আজ বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের সূচনায় আগত সকল শুভাকাঙ্ক্ষী ও ও সম্মানীয়দের জানাই একরাশ হিমেল শুভেচ্ছা। আন্তরিক প্রীতি ও ভালোবাসা।

বরষের প্রথম সন্ধ্যায় জানাই আগামি দিনের শুভ কামনা।

হে নূতন দেখা দিক আর বার জন্মের প্রথম শুভক্ষণ।(রবীন্দ্রসঙ্গীত)

চারিদিকে এত রক্তপাত,

জীবনমন্ত্রে নয় মৃত্যু মন্ত্রে দিলে দীক্ষা!

এমন বোলোনা দিবস!

দেখো,

আসবে সেই দিন নিশ্চিত

ভুলে যাবো সব হিংসার শতকিয়া 

সেরে নেবো শুদ্ধ সমুদ্র স্নান।

বালুকাবেলায় দাঁড়িয়ে বালিকাটি 

শঙ্খহাতে বাজাবে পাঞ্চজন্যের গান।

এক আকাশ তারাখচিত সামিয়ানার নিচে দাঁড়িয়ে 

বলবো “আকাশ ভরা সূর্য তারা বিশ্বভরা প্রাণ

তাহারি মাঝখানে আমি পেয়েছি আমার স্থান!”

আমার মনে গান জাগবে। বিস্ময়ে মনে মনে বলবো…. 

আমাকে নিয়ে চলো অসত্য থেকে সত্যে, 

অন্ধকার থেকে আলোকে, মৃত্যু থেকে অমৃতে

আমায় সবাকার সাথে নিয়ে চলো শ্বাশত আনন্দের জগতে…

 দ্যাখো আলোয় আলো আকাশ,আকাশ তারায় ভরা..(শিল্পী -অরিজিত সিং)

চেনা জীবন কে নতুন করে জাগিয়ে তোলার মধ্যে যেমন আনন্দ রয়েছে, তেমনি রয়েছে আত্মতৃপ্তি, কিন্তু নতুন করে তো জাগিয়ে তোলা সহজ নয় কখনো…

তবু আমাদের সমস্ত সংকট, ভয়, যন্ত্রণা, দুঃখ পেরিয়ে এগোতেই হয়। আমরা এগোই জীবন চলনের ছন্দে, সব ভয়কে জয়করে 

আমি ভয় করবো না ভয় করবো না 

দুবেলা মরার আগে মরবো না ( রবীন্দ্রসঙ্গীত)

এ দেশ আমার গর্ব, 

এ মাটি আমার কাছে সোনা।

এখানে মুক্তির লক্ষ্যে হয় মুকুলিত

আমার সহস্র সাধ, সহস্র বাসনা

হে মোর চিত্ত, পুণ্যতীর্থে জাগো রে  ধীরে-

এই ভারতের মহামানবের সাগরতীরে!

হেথায় দাঁড়ায়ে দুবাহু বাড়ায়ে, নমি নর দেবতারে,

উদার ছন্দে পরমানন্দে বন্দনা করি তারে।

ধ্যানগম্ভীর এই যে ভূধর, নদীজপমালা ধৃত-প্রান্তর

হেথায় নিত্য হেরো ধরিত্রীরে

এই ভারতের মহামানবের সাগরতীরে।

তপস্যাবলে একের অনলে বহুরে আহূতি দিয়া

বিভেদ ভুলিল, জাগায়ে তুলিল,একটি বিরাট হিয়া

সেই সাধনার, সে আরাধনার, যজ্ঞশালার খোলা আজি দ্বার

হেথায় সবারে হবে মিলিবারে, আনত শিরে

এই ভারতের মহামানবের সাগর তীরে

জয় হো (এ আর রহমান)

বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি তাই পৃথিবীর রূপ

খুঁজিতে যাইনা আর।অন্ধকারে জেগে উঠে

ডুমুরের গাছে চেয়ে দেখি,ছাতার মতো বড়ো পাতাটির 

নিচে বসে আছে ভোরের দোয়েল পাখি।

যদি আর জন্ম দাও, হে ঈশ্বর… 

আবার ফিরে আসি যেন এই বাংলায়

বাংলার নদী মাঠ ক্ষেত ভালোবেসে

আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে (শিল্পী -লোপামুদ্রা মিত্র)

সুখের শিশিরকাল, সুখে পূর্ণ এই ধরা।এই পৌষের  হিমেল বাতাসে একান্ত গোপণে উষ্ণ হয়ে উঠি আমরা।পৌষ আমাদের ডাকদেয়। 

পৌষ এলো গো!

অশ্রু পাথার হিম পারাবার পেরিয়ে 

এই যে এলো গো…. 

পৌষ তোদের ডাক দিয়েছে (সমবেত) 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *